পানশালা! এক অদ্ভুত রোমাঞ্চকর শব্দ! কারো কাছে এ জায়গা 'শয়তানের বৈঠকখানা', আবার কারো কাছে এ জায়গা এক 'আশ্রয়' । যেখানে সোনালি মদিরা-গরল অমৃত ভুলিয়ে দেয় সব বেদনা। চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি এক রহস্যময় পৃথিবী পানশালা। আলো-আঁধার যেখানে একসঙ্গে খেলা করে। এই রহস্যময়তাকে নিজের কলমে ফুটিয়ে তোলার জন্য একদা এক পানশালাতে গিয়ে উপস্থিত হয় তরুণ লেখক চন্দন। নিজের অজান্তেই সে ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়তে থাকে এই অদ্ভুত পৃথিবীর রহস্যময়তার সঙ্গে। এ উপন্যাস পড়তে পড়তে কখনো উঠে এসেছে কলকাতার পানশালার ইতিহাস, বহু বিখ্যাত মদ্যপ্রেমী মানুষের কাহিনি, আবার লেখক কখনো তুলে ধরেছেন আধুনিক কলকাতার পানশালা জীবনের রহস্যময়তাকে, তার সজীবতাকে, অন্ধকারকে। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে চেনা-অচেনা নারী-পুরুষ, সমাজ, রাজনীতি।